Press ESC to close

  • ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  • ১৪ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • ১৩ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি
  • রাত ১১:৩৮ | শুক্রবার | বসন্তকাল
PeopleEyes24.comPeopleEyes24.com

বগুড়ায় লোভনীয় ইফতার আইটেম আকবরিয়ার

পিপলআইস রিপোর্ট: বরাবরের মতো বগুড়ায় ইফতার আইটেমে থাকে স্যান্ডউইজ, পিজ্জা, স্পন্স কেক, বার্গার, জিলাপী, বেগুনি, বার্বিকিউ চিকেন, চিকেন গ্রিল, খাসির লেগ রোষ্ট, রোল, সাসলিক, শর্মা, ডিমচপ, ফ্রাইড চিকেন, পিয়াজু, নিমকি, ঝুড়ি চানাচুর, বুট, বুন্দিয়া, হালিমসহ আরও সুস্বাদু খাবার। 

রবিবার প্রথম রমজানে আকবরিয়ার সামনে দেখা মেলে এবারের রমজানে তৈরি এসব ইফতার সামগ্রীর। সুস্বাদু লোভনীয় এসব স্বাদের খাবার কিন্তু আবার সব সময় মেলে না। ইচ্ছে থাকলেও একসঙ্গে এতোসব আইটেম মেলানো সম্ভব হয় না। কিন্তু রমজান মাস এলেই চিত্রটা পাল্টে যায়। সাধারণত প্রত্যেক বছর রমজান মাস ঘিরে ইফতার আইটেম হিসেবে এসব খাবার তৈরি করা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় রমজানের প্রথম দিনেই লোভনীয় স্বাদের এসব ইফতার সামগ্রী তৈরি করেছেন বগুড়ার আকবরিয়া গ্র্যান্ড হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট এবং শাখাসমূহ। এর মধ্যে বেশ কয়েক আইটেমের খাবার পেতে হলে আগে থেকেই অর্ডার দিয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করতে হয় ক্রেতাদের। নির্ধারিত সময়েই খাবার টেবিলে বা ক্রেতাদেরও হাতে পৌঁছে যায় তাদের পছন্দের খাবার। আর এসব খাবার তৈরিতে শহরের আকবরিয়া অন্যতম। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বগুড়াকে নানা কারণে ঐতিহ্যের শহর বলা হয়। এই শহরের তৈরি দইয়ের খ্যাতি শুধু দেশেই নয়, দেশের বাইরেও রয়েছে। এছাড়া নানা ইতিহাস-ঐতিহ্যের কারণেও মানুষ বগুড়াকে চেনে। এসব বিবেচনায় রেখে আকবরিয়া বাহারি আইটেমের ইফতার সামগ্রী তৈরি করেন। এক্ষেত্রে নানা শ্রেণী-পেশার ক্রেতা সাধারণের রুচি ও ক্রয় ক্ষমতার বিষয়টিও মাথায় রাখেন।

ইফতার কিনতে আসা একজন ক্রেতা বলেন, নানা ইতিহাস-ঐতিহ্যের কারণে মানুষ বগুড়াকে চেনে। এসব বিবেচনায় রেখে আকবরিয়া বাহারি আইটেমের ইফতার সামগ্রী তৈরি করেন। এ প্রতিষ্ঠানটি নানা শ্রেণী-পেশার ক্রেতা সাধারণের রুচি ও ক্রয় ক্ষমতার বিষয়টিও মাথায় রেখে সুলভমূল্যে বিক্রি করে থাকে। আকবরিয়ায় সব সময় ভালো মানের ইফতার পাওয়া যায়। বাড়ি থেকে দুর হলেও ইফতার কেনার জন্য আকবরিয়াতে ছুটে আসি।

দুপুর থেকেই তাদের হোটেলে ইফতার সামগ্রী দিয়ে সাজিয়ে তোলে। ইফতারের সময় গড়িয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে এখানে বেচাবিক্রির চাপ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। কর্মচারীদের যেন দম ফেলার ফুসরত থাকে না তখন। শাহীনুজ্জামান, রাসেল, দেলোয়ার হোসেন সহ একাধিক ক্রেতা বলেন, ইফতার সামগ্রীর দাম প্রত্যেক বছর কমবেশি বাড়ে। পেঁয়াজু, ছোলা, খেজুর, বাদাম, জিলাপি, বেগুনি, চানাচুর, ঝুরি চানাচুরসহ নানা আইটেমের ইফতার সামগ্রীর দাম গতবারের চেয়ে এবার কিছুটা কম মনে হচ্ছে।

আকবরিয়া লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসেন আলী দুলাল জানান, শতাব্দীর স্বাক্ষর আকবরিয়ার পণ্য যা গুণগত মানে আপোষহীন ও তৃপ্তির সর্বোচ্চ শিখরে। এ পণ্যের স্বাদ দীর্ঘদিন যাবৎ রসনার তৃপ্তি মিটিয়ে আসছে গোটা দেশজুড়ে। ভেজালমুক্ত এবং মানসম্মত খাবারের কারণেই আকবরিয়া হোটেলের ইফতারির আইটেমগুলো সবার প্রিয়। আর সে কারণেই ভিড় বেশি থাকে। 

আকবরিয়া লিমিটেডের চেয়ারম্যান হাসান আলী আলাল জানান, ক্রেতার সন্তুষ্টিই আমাদের  অহংকার। ভোক্তাদের চাহিদা পূরণে যেকোনো ধরনের ত্যাগ প্রদানে এ প্রতিষ্ঠানটি বদ্ধপরিকর। ক্রেতা ও বিক্রেতা একে অপরের পরিপূরক। তাদের মাঝে ভালোলাগা, আত্মতৃপ্তি, সমন্বয় ও ক্রেতাদের উত্তম সেবা দেওয়া নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করি। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *