Press ESC to close

  • ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  • ১৫ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • ১৪ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি
  • সকাল ৮:৪৪ | শনিবার | বসন্তকাল
PeopleEyes24.comPeopleEyes24.com

বগুড়ায় পাখির সাথে সখ্যতা করেছে চা বিক্রেতা রাজ্জাক

পিপলআইস রিপোর্ট:

শরৎ শেষে হেমন্তের শুরুতে শীতের আগমনে সর্বত্র পাখিদের আনাগোনা দেখা দেয়। দিন শেষে আবার ফিরে যায় নিরাপদ স্থানে। ঝাঁকেঝাঁকে উড়ে বেড়াচ্ছে হাজার হাজার পাখি। খাবারের সন্ধানে একঝাঁক পাখি বগুড়া সদরের কলোনী এলাকায় নামলে রাজ্জাক নামে চা বিক্রেতা তাদের প্রতি সদয় হয়ে খাবার ছিটিয়ে দেয়। পাখিরা রাজ্জাকের ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়ে প্রতিদিন তার দোকানের পাশে কলকাকলিতে মুখরিত করে তোলে। রাজ্জাকের চা দোকানের পাশে এ দৃশ্য এখন নিত্যদিনের। গোধুলির রঙ ডানায় মেখে পাখিগুলো যে যার মত আশ্রয় নেয় আশপাশের গাছগাছালি, বাঁশঝাড় ও কচুরিপানায়। 

রাজ্জাকের সাথে আলাপকালে জানায়, একসঙ্গে এতো পাখির আনাগোনা দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। পাখিগুলো প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি স্থানীয়দের বিনোদনের খোরাক জোগানোর পাশাপাশি পুরো এলাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে। প্রতিদিন তার কাছে খাবার খেতে ছুটে আসে শত শত দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন ধরনের পাখি। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আসে শালিক পাখি। এভাবে পাখির সাথে আমার সখ্যতা গড়ে উঠে। ছোট বেলা থেকেই আমি পাখিদের অনেক ভালোবাসি। পাখির কিচির মিচির ডাকে সকালে আমার ঘুম ভাঙ্গে। যে কারণে পাখিদের প্রতি এ রূপ অবাধ ভালোবাসা। এসব পাখিদের প্রতিদিন নিজের বানানো খাবার তিনবার খেতে দেই। পাখিদের কিচির-মিচির শব্দ এবং তাদের উপস্থিতি আমাকে মুগ্ধ করে। এতেও এক ধরনের শান্তি মিলে। হাজার হাজার পাখি তাদের খাবারের জন্য গাছের ডালে অপেক্ষা করে। খাবার দেয়া মাত্রই ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি গাছ থেকে মাটিতে নেমে খাবার খায়। এরপর দিনশেষে নীড়ে ফিরে যায়। পাখিদের প্রতি এমন ভালাবাসা দেখে সবাই মুগ্ধ। এটি একটি ভালো কাজ। আমাদের পাখিদের প্রতি অগাধ ভালোবাসা সৃষ্টি করতে হবে। আমাদের দেশে দেশীয় প্রজাতির পাখি বিলপ্তির পথে। এর কারণ হচ্ছে পাখির প্রতি মানুষের আন্তরিকতার অভাব। আমাদের প্রত্যেককেরই মানবপ্রেমের পাশাপাশি পাখি প্রেমিক হতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *