Press ESC to close

  • ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  • ১৫ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • ১৪ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি
  • রাত ১২:৫৫ | শনিবার | বসন্তকাল
PeopleEyes24.comPeopleEyes24.com

বগুড়ায় প্রক্রিয়াজাত শাপলার কদর এখন ঢাকায়

পিপলআইস রিপোর্ট:

শীতের আগমনী বার্তায় বিভিন্ন বিল, জলাশয়, ডোবা নালা পুকুরে ফুটে উঠেছে শাপলা ফুল। বিলের ফুটন্ত শাপলার শোভা একদিকে যেমন ভ্রমণপিপাসুদের মনের খোরাক জুগিয়ে চলেছে, তেমনি এই শাপলা বেঁচে আর পর্যটকদের কাছে নৌকা ভাড়া দিয়ে বাড়তি আয়ের পথ তৈরি হয়েছে স্থানীয়দের জন্য। গ্রামের কয়েকজন নারী ও শিশু বিলের পানিতে নেমে শালুক তুলছে। এগুলো বিক্রি করে কিছু বাড়তি আয় করেন তারা, আবার রান্না করেও খান। বাজারে সবজি হিসেবেও শাপলার খুব চাহিদা আছে। এটি খুব পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি খাবার। সাদা শাপলা স্থানীয় বাজারগুলোতে সবজি হিসেবে বিক্রি হয়। লাল শাপলা বিশেষ উপায়ে প্রক্রিয়াজাত করে ঢাকার বিভিন্ন ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা হয়। কমপক্ষে চার মাস পর্যন্ত শাপলা সংগ্রহ করতে পারেন। আবহাওয়া ভালো থাকলে শাপলা কেটে রোদে শুকাতে বিক্রিযোগ্য করতে কমপক্ষে পাঁচদিন সময় লাগে। বিলে পানি থাকে যতদিন, শাপলা পাওয়া যায় ততদিন। শাপলা বিক্রেতা ইউনুছ বলেন, এক কেজির আঁটি সাদা শাপলা প্রতি মুড়ি (আঁটি) ৭ টাকায় কিনে ১০ টাকায় বিক্রি করি। একদিন পর পর শাপলা তুলে বাজারে নিয়ে আসি। শুকনা শাপলা পাইকাররা ওষুধ বানানোর জন্য বাড়ি থেকে কিনে নিয়ে যান এবং প্রতিমণ ৮ হাজার টাকায় বিক্রি করি। গ্রামবাংলার অকৃত্রিম রুপছায়া মায়া সবই যেন ধারণ করে আসছে শাপলা। এসব কারণেই জাতীয় ফুলের মর্যাদা দিয়ে আরও আপন করে নেয়া হয় ফুলটিকে।

বগুড়া সদর, শাজাহানপুর, দুপচাঁচিয়া, গাবতলী, সারিয়াকান্দি, সোনাতলা, ধুনট, শেরপুর, নন্দীগ্রাম উপজেলায় বিভিন্ন গ্রামের খাল-বিল ও নদীতে চোখে পড়ে শাপলা ফুলের বিপুল সমাহার। গ্রামীণ প্রকৃতির এই শাপলা ফুলের বাহারী রঙে ছেয়ে গেছে উপজেলাগুলোর নদী, নালা, খালবিল। শাপলা পদ্মগোত্রের ফুল। জলে নিমজ্জিত নরম দন্ডের উপরিভাগে এ ফুল ফুটে থাকে। হেমন্তের ভোরে সবেমাত্র সূর্য আকাশে উঁকি দিচ্ছে। তখনই মেলতে শুরু করে লাল শাপলা। 

বগুড়া সদরের কৈপাড়া এলাকার কৃষক আসলাম জানান, সূর্যের উপস্থিতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শাপলা ঝিমিয়ে পড়ে। সূর্যোদয় থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত লাল শাপলার সৌন্দর্য দৃশ্যমান থাকে। প্রাকৃতিকভাবেই এই বিলে ফুটছে আকর্ষণীয় লাল শাপলা। যা বিলের আশপাশের পরিবেশ আর গ্রামগুলোকে মনোমুগ্ধকর করে তুলেছে। বর্ষাকালে বিলটি পানিতে নিমজ্জিত থাকে। আর বাকি ছয় মাস এখানে ধানের চাষাবাদ হয়। মাত্র কয়েক মাসের জন্য এখানে শাপলা ফোটে। স্থানীয়ভাবে সহজলভ্য হওয়ায় এলাকার লোকজন শাপলা তুলে খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করেন এবং বিভিন্ন হাটে বিক্রি করে থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *