Press ESC to close

  • ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  • ১৫ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • ১৪ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি
  • রাত ১২:৪৯ | শনিবার | বসন্তকাল
PeopleEyes24.comPeopleEyes24.com

বগুড়ায় গৃহহারা বৃদ্ধদের নিরাপদ ঠিকানা হতে যাচ্ছে শহরতলীর মালগ্রামে

পিপলআইস রিপোর্ট: প্রাকৃতিক স্নিগ্ধতা অবিমিশ্রধারায় সৃজিত বৃক্ষরাজী ঘনপল্লবের উপর শ্রাবণের বৃষ্টিধারা আকাশে মেঘের ডাক, অরণ্যের ভেতরে বাতাসের হু হু শব্দ দূরাকাশে চিলের ডাক, বৃক্ষের ডালে পাখি বসা, কাঠ ঠোকরাদের ঠক ঠক শব্দ, রাত্রিতে শিয়ালের চিৎকার ধ্বনি, শরতের রাত্রিতে ঝিল্লিধ্বনী সমৃদ্ধ আবহমান বাংলাদেশে চিত্রে পরিপূর্ণ হবে এ বৃদ্ধাশ্রমটি। বগুড়ায় বৃদ্ধাশ্রমটি মনোরম পরিবেশে নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ডাক্তার বাতেন। প্রবীণ ও বয়োবৃদ্ধদের নিঃসঙ্গতা এবং একঘোরে হয়ে থাকার বাস্তবতায় প্রবীণ জীবনের এ অধ্যায়টি যেন সুখকর, তৃপ্তিকর, আনন্দমুখর হয় সেজন্যই ডাক্তার বাতেন এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আপনের চেয়ে পর ভালো, পরের চেয়ে বৃদ্ধাশ্রম। কঠিন এক সত্য। আর এ সত্যকে মেনেই অনেক বৃদ্ধ মা-বাবা আশ্রয় নেন বৃদ্ধাশ্রমে। সন্তানের কাছে যাদের বেশি কিছু চাওয়ার নেই, শেষ বয়সে আদরের সন্তানের পাশে থেকে সুখ-দুঃখ ভাগ করবার ইচ্ছা এতোটুকুই। আর এ নিয়েই প্রতিটি পিতা- মাতা প্রহর গুণতে থাকেন দিবা-রজনী। কিন্তু অনেকেরই সেই সন্তানের কাছে আশ্রয় না হয়ে; আশ্রয় হয় আপনজনহীন বৃদ্ধাশ্রমে। হয় নিজেই পাঠিয়ে দিচ্ছেন বৃদ্ধাশ্রমে, নয়তো অবহেলা দুর্ব্যবহার করে এমন অবস্থার সৃষ্টি করছে যেন তাদের পিতা-মাতা নিজেরাই সরে যান তার সাধের পরিবার থেকে। কেউ কেউ আবার এমনও বলেন, তার টাকার অভাব না থাকলেও সময়ের অভাব আছে, পিতা-মাতাকে দেখভাল করা বা তাদের সঙ্গে কথা বলার মতো পর্যাপ্ত সময় তাদের নেই। বৃদ্ধাশ্রম অবহেলিত বৃদ্ধদের জন্য শেষ আশ্রয়। 

তোমারেই যেন ভালোবাসিয়াছি শত রূপে শতবারজনমে জনমে যুগে যুগে অনির্বার। চিরকাল ধরে মুগ্ধ হৃদয়ে গাঁথিয়াছে গীতাহার-কত রূপ ধরে পরেছ গলায়, নিয়েছে সে উপহারজনমে জনমে যুগে যুগে অনির্বার।’’রবীন্দ্রসঙ্গিতের মত করে সে নিজে ভেবে নিল তার এই পাতাবাহারের ব্যালকোনী ছেড়ে আর অন্য কোথাও বসত করার ইচ্ছে নেই। এখানে তারা নির্ভাবনায়, সম্মানের সঙ্গে, আনন্দের সঙ্গে বাকি দিনগুলো কাটাতে পারবেন। শুনলেই আতকে ওঠে অনেকের মন, আবার কিছু অভাগা বাবা-মায়ের শেষ জীবনে জোটে এ আশ্রম। বগুড়া শহরের মালগ্রামে প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পরম মমতায় শেষ জীবনের ঠাঁই। সন্তানের সুখ বঞ্চিত মায়ের অভাব কারো পক্ষেই পূরণ করা সম্ভব না। কারো স্বামী নেই, কারো স্ত্রী নেই। কারো আবার নেই কোনো পুত্র সন্তান। কারো আবার সন্তান থেকেও যেন নেই! আদতে তাদের পরিবারের কোনো খোঁজ নেই। তাদের কেউ পরিত্যক্ত, দুর্ভাগ্যক্রমে কেউবা পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন। একেকজনের জীবনের গল্প একেক রকম। এ গল্পগুলো নিরসনের লক্ষে এমন মহতী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ডাক্তার এমএ বাতেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *